।।ভেটকি মাছের পাতুরি ও ওলা শেয়ার।।
খালি পেটে ওলা শেয়ারে ওঠার অভিজ্ঞতা বলি। ভাবছেন খিদের মুখে ওলা শেয়ারে উঠলাম আর গাড়িটা গোটা কোলকাতা ঘোরালো!!! আর আমি সেই রাগে ওলার বিরুদ্ধে এত কিছু লিখছি যাতে "হোক বয়কট ওলা" টাইপের একটা মোমবাতি মিছিল করে শহরটাকে অচল করে দেওয়া যায়??একদমই নয়, ওটা তো অতি পরিচিত সমস্যা, এটা একান্ত ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা, যদিও ভয়ঙ্কর আবার তাত্পর্যপূর্ণও বটে ।।।
২৫ শে বৈশাখের সকালে ছুটির দিনের ঘুমটাকে যথাযথ সম্মান দিতে পেটকে প্রায় খালি রেখেই একটি কাজে বেরোতে হল । হঠাৎ করে হিসেবি হয়ে ধরলাম একটি ওলা শেয়ার। কিছুক্ষণ পরে আর একজন যাত্রী উঠলেন সামনে। হালকা হালকা খিদে পেলেও সব ঠিকই চলছিল । সহযাত্রীর একটি ফোন এল, কথা গুলো শুনবো না ঠিক করলেও বাঙালির কান চলেই গেল । বুঝলাম উনি কেটারিং এর ব্যাবসা করেন । সালাডের অর্ডার নিয়ে শুরু করলেন । কিছু পরে আরেকটি ফোন এল ••এবার এল ফুল কপির রোস্ট , গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে একাই কমাব বলে শপথ নেওয়ায় ছোট থেকেই সবজিতে আমার বিশেষ ভক্তি নেই 😊, তবুও পেটটা কেমন যেন করে উঠল!! কপি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠেও মিলিয়ে গেল । যাই হোক যেকোনো সময় পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যেতে পারে আন্দাজ করলাম । যা ভাবা ঠিক তাই, পরের ফোনটাতেই চিকেন চাপ , আর আমারো চাপ😣। ভাগাড়ের মাংস ভেবে মনকে সংযত করলাম। মুরগি গুলোকে উড়ে যেতে দিলাম বুকে পাথর রেখে । হিরোশিমা নাগাসাকির মতো বোমাটি পড়ল পরের ফোনে, ¤¤ভেটকি মাছের পাতুরি 😋😋¤¤ নিজে বেড়ালের মতো হওয়ায় আর ঠিক রাখতে পারলাম না নিজেকে, হাত পা অবশ হতে শুরু করল । মনে হল মাছ ভর্তি একোরিয়ামে পরে গেছি । খালি পেট যে এরকম শাস্তি দেবে ভাবিনি । ভদ্রলোকটি কোন ভাবেই যাতে আমায় অজ্ঞান করতে না পারেন, অসার হাতে হেড ফোনটা কানে গুজলাম ফুল ভলিউমে। এফ এম এ তখন বুড়োর গান চলছে। এমনিতে ওনার সঙ্গে খুব একটা সদ্ভাব নেই আমার😊, কিন্তু সেদিন চারদিকে এক্সক্লুসিভলি শুধুই উনি। প্রানে বাচতে হেড ফোন খোলাও যাবে না। অগত্যা বুড়োই ভরসা। "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে▪▪▪" নিজে জানলোও না যে একজনের প্রান বাচাল।
Creative writing1
Published:

Creative writing1

creative writing

Published:

Creative Fields